শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন

৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস

কারেন্ট মেমোরি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৩১ পঠিত
৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস

৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস।  ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাদের স্বরণে এই দিনটিকে জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশের প্রথম সরকার তথা মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি/উপ-রাষ্ট্রপতি/ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৭৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং জাতীয় সংসদে তিনি উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৷

তাজউদ্দীন আহমদ
পেশায় একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ৭৩’র নির্বাচনের পর তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশের প্রথম জাতীয় বাজেট পেশ করেন এবং প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।

আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান (এএইচএম কামরুজ্জামান)
মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি তিনি মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এ সময় শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করলে তিনি বাকশালের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন।

আও পড়ুন : ৩৯ মাস বয়স ছাড় পাচ্ছেন ব্যাংকের চাকরিপ্রার্থীরা

ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী
মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ৭২-এর জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে মন্ত্রী পরিষদ পুনর্গঠন করেন৷ তখন তিনি প্রথমে যোগাযোগ ও পরে স্বরাষ্ট্র এবং যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ এরপর রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি চালু করলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক গঠিত বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) সাধারণ সম্পাদক হন তিনি।

বিচারকার্য
২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ৩ জন পলাতক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ১২জন সেনা কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

 লেখাপড়া ও চাকরি সংশ্লিষ্ট সাম্প্রতিক সকল তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একই ধরনের আরও সংবাদ
© Current Memory 2022 - 2023
Designed by BLACK iz Limited