শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

কমিউনিটি পুলিশিং সম্পর্কিত সকল তথ্য

কারেন্ট মেমোরি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ৯৮ পঠিত
কমিউনিটি পুলিশিং সম্পর্কিত সকল তথ্য

আজ সারা দেশে পালিত হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২২। আসুন জেনে নেই কমিউনিটি পুলিশিং সম্পর্কিত সকল তথ্য…

দিবসের নাম : কমিউনিটি পুলিশিং ডে

প্রতিপাদ্য : ‘কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূলমন্ত্র, শান্তিশৃঙ্খলা সর্বত্র’। (২০২২)

দিবস পালনের দিন : প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার

প্রবর্তক : বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের অন্যতম প্রবর্তক সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

ইতিহাস : ১৯৯৪ সালে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম‍ শহীদুল হক। সে সময় ময়মনসিংহে হঠাৎ করেই চুরি, ছিনতাই বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) আহমাদুল হক গঠন করেন টাউন ডিফেন্স পার্টি। এটি মূলত কমিউনিটি পুলিশিংয়ের একটি অংশ। ওই সময়ই প্রথম শহরবাসীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পাড়া-মহল্লায় পাহাড়াদার নিয়োগ করা হয়। স্থানীয় জনসাধারণই তাদের টাকা দিতেন। তাদের হাতে দেওয়া হয় টর্চলাইট, বর্শা। ঠিক সে সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম শহীদুল হক কমিউনিটি পুলিশিং নিয়ে কাজ শুরু করেন। ময়মনসিংহ থেকে প্রাপ্ত কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ধারণা পরবর্তীতে গোটা দেশে এমনকি বিদেশেও ছড়িয়ে দেন এ কে এম শহীদুল হক।

কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে অবদানের জন্য ২০১২ সালে আমেরিকার নিউজার্সি স্টেটের মেয়র আইজিপি শহীদুল হককে সম্মাননা প্রদান করেন।

কাঠামো

কমিউনিটি পুলিশিংয়ের অঞ্চল ভিত্তিক সাংগঠনিক কমিটির দুটো কাঠামো থাকে: (১) উপদেষ্টা পরিষদ এবং (২) নির্বাহী কমিটি বা কার্যকরী পরিষদ।

উপদেষ্টা পরিষদ: সদস্য সংখ্যা ৮-১০ জন হয়। তবে এর সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ আছে।

নির্বাহী কমিটি/কার্যকরী পরিষদ: সদস্য সংখ্যা ১৫-২০ এর মধ্যে হয়ে থাকে। তবে প্রয়োজনে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ২৫ জন করা যায়।

আরও পড়ুন : বিশ্ব ডিম দিবস সম্পর্কিত তথ্য

কমিউনিটি পুলিশিং সম্পর্কিত আরও তথ্য :

* আধুনিক পুলিশের প্রতিষ্ঠাতা, লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাতা এবং ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’- এই শ্লোগানের প্রবর্তক স্যার রবার্ট পিল সর্বপ্রথম কমিউনিটি পুলিশিং সূত্রপাত করেন।

* ‘পুলিশই জনতা ও জনতাই পুলিশ’ এ মূলমন্ত্রের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।

* ২০১৩ সালে স্বল্প পরিসরে পুলিশ সদরদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) অপারেশনের অধীনে পৃথক শাখা হিসেবে কাজ শুরু করেছিল কমিউনিটি পুলিশ।

* ২০১৪ সালে একজন সহকারী মহাপরিদর্শকের (এআইজি) তত্ত্বাবধানে পাবলিক সেফটি অ্যান্ড প্রিভেনশন (পিএস অ্যান্ড সিপি) শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। এটিই এখন কমিউনিটি অ্যান্ড বিট পুলিশিং নামে কার্যক্রম চালাচ্ছে।

* পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সারাদেশে মোট ৫৪ হাজার ৭১৮টি কমিটিতে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭০১ জন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

* কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ওপেন হাউজ ডে’র মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভা, গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম, অপরাধবিরোধী সভা, দৃশ্যমান পেট্রল ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনা।

লেখাপড়া ও চাকরি সংশ্লিষ্ট সাম্প্রতিক সকল তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একই ধরনের আরও সংবাদ
© Current Memory 2022 - 2023
Designed by BLACK iz Limited