শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

মুক্তিযুদ্ধের ১১ সেক্টরের সীমানা, সদর দপ্তর ও সেক্টর কমান্ডারদের নাম

এডুকেশন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ৮১৫ পঠিত
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ১১ সেক্টরের সীমানা, সদর দপ্তর ও সেক্টর কমান্ডারদের নাম

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধকালে ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় সারাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ১১ সেক্টরের সীমানা, সদর দপ্তর (হেড কোয়ার্টার্স), সাব সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারদের নামসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি তুলে ধরা হলো-

১ নং সেক্টর

এলাকা : চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের সমগ্র এলাকা নিয়ে গঠিত।
সেক্টর কমান্ডার : মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল-জুন) ও মেজর রফিকুল ইসলাম (জুন-ডিসেম্বর)।
হেড কোয়ার্টার্স : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হরিণা।
সাব-সেক্টর : ৫টি : ঋষিমুখ, শ্রীনগর, মনুঘাট, তবলছড়ি এবং ডিমাগারী।
সাব-সেক্টর কমান্ডার : ঋষিমুখ (ক্যাপ্টেন শামসুল ইসলাম); শ্রীনগর (ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান এবং পরে ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান); মনুঘাট (ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান); তবলছড়ি (সুবেদার আলী হোসেন) এবং ডিমাগিরী (জনৈক সুবেদার)।
যোদ্ধা : এই সেক্টরে ই.পি.আর, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সমম্বয়ে গঠিত বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা ছিল প্রায় ২ হাজার এবং গণবাহিনীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮ হাজার।

২ নং সেক্টর

এলাকা : ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর ও নোয়াখালী জেলা নিয়ে গঠিত।
সেক্টর কমান্ডার : মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) ও মেজর এ. টি.এম. হায়দার (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)।
হেড কোয়ার্টার্স : ভারতের ত্রিপুরার মেঘালয়।
সাব-সেক্টর : ৬টি : গঙ্গাসাগর, কসবা ও আখাউড়া, মন্দভাগ, শালদা নদী, মতিনগর, নির্ভয়পুর এবং রাজনগর। ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর এবং নোয়াখালি জেলার অংশ নিয়ে গঠিত।
সাব-সেক্টর কমান্ডার : গঙ্গাসাগর, আখাউড়া ও কসবা (মাহবুব এবং পরে লেফটেন্যান্ট ফারুক ও লেফটেন্যান্ট হুমায়ুন কবীর), মন্দভাগ (ক্যাপ্টেন গাফফার); শালদা নদী (আবদুস সালেক চৌধুরী); মতিনগর (লেফটেন্যান্ট দিদারুল আলম); নির্ভয়পুর (ক্যাপ্টেন আকবর এবং পরে লেফটেন্যান্ট মাহবুব); এবং রাজনগর (ক্যাপ্টেন জাফর ইমাম এবং পরে ক্যাপ্টেন শহীদ ও লেফটেন্যান্ট ইমামুজ্জামান)।
যোদ্ধা : এই সেক্টরের অধীনে প্রায় ৩৫ হাজারের মতো গেরিলা যুদ্ধ করেছে। নিয়মিত বাহিনীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ হাজার।

৩ নং সেক্টর

এলাকা : আখাউড়া-ভৈরব রেল লাইন থেকে পূর্ব দিকে কুমিল্লা জেলার অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ।
সেক্টর কমান্ডার : মেজর কেএম শফিউল্লাহ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) ও মেজর এএন এম নূরুজ্জামান (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)।
হেড কোয়ার্টার্স : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কলাগাছিয়া।
সাব-সেক্টর : ১০টি। আশ্রমবাড়ী, বাঘাইবাড়ি, হাতকাটা, সিমলা, পঞ্চবটী, মনতলা, বিজয়নগর, কালাছড়া, কলকলিয়া এবং বামুটিয়া। উত্তরে সিলেটের চূড়ামনকাঠি (শ্রীমঙ্গলের নিকট) এবং দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল পর্যন্ত এলাকা নিয়ে গঠিত হয়।
সাব-সেক্টর কমান্ডার : আশ্রমবাড়ি (ক্যাপ্টেন আজিজ এবং পরে ক্যাপ্টেন এজাজ); বাঘাইবাড়ি (ক্যাপ্টেন আজিজ এবং পরে ক্যাপ্টেন এজাজ); হাতকাটা (ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান); সিমলা (ক্যাপ্টেন মতিন); পঞ্চবটী (ক্যাপ্টেন নাসিম); মনতলা (ক্যাপ্টেন এমএসএ ভূঁইয়া); বিজয়নগর (এমএসএ ভুঁইয়া); কালাছড়া (লেফটেন্যান্ট মজুমদার); কলকলিয়া (লেফটেন্যান্ট গোলাম হেলাল মোরশেদ) এবং বামুটিয়া (লেফটেন্যান্ট সাঈদ)।
যোদ্ধা : এই সেক্টরের অধীনে ১৯টি গেরিলা ঘাঁটি গড়ে ওঠেছিল। নভেম্বর মাস পর্যন্ত গেরিলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০ হাজারের মতো।

৪ নং সেক্টর

এলাকা : উত্তরে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট পুলিশ স্টেশন পর্যন্ত ১০০ মাইল বিস্তৃত সীমান্ত এলাকা নিয়ে গঠিত।
সেক্টর কমান্ডার : সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত এবং পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
হেড কোয়ার্টার্স : করিমগঞ্জ (প্রথমে), পরে আসামের মাসিমপুর।
সাব-সেক্টর : ৬টি। জামালপুর, বড়পুঞ্জী, আমরাসিদ, কুকিতল, কৈলাশ শহর এবং কমলপুর।)
সাব-সেক্টর কমান্ডার : জামালপুর (মাসুদুর রব শাদী); বড়পুঞ্জী (ক্যাপ্টেন এ রব); আমলাসিদ (লেফটেন্যান্ট জহির); কুকিতল (ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট কাদের এবং পরে ক্যাপ্টেন শরিফুল হক); কৈলাশ শহর (লেফটেন্যান্ট উয়াকিউজ্জামান) এবং কমলপুর (ক্যাপ্টেন এনাম)।
যোদ্ধা : এ সেক্টরে গেরিলার সংখ্যা ছিল প্রায় ৯ হাজার এবং নিয়মিত বাহিনী ছিল প্রায় ৪ হাজার।

৫ নং সেক্টর

এলাকা : সিলেটের পশ্চিম এলাকা, সিলেট-ডাউকি সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
সেক্টর কমান্ডার : মেজর মীর শওকত আলী।
হেড কোয়ার্টার্স : সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের বাঁশতলা।
সাব-সেক্টর : ৬টি। মুক্তাপুর, ডাউকি, শেলা, ভোলাগঞ্জ, বালাট এবং বড়ছড়া।
সাব-সেক্টর কমান্ডার : মুক্তাপুর (সুবেদার নজির হোসেন এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড এফ.এফ. ফারুক); ডাউকি (সুবেদার মেজর বি.আর চৌধুরী); শেলা (ক্যাপ্টেন হেলাল; সহযোগী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মাহবুবার রহমান এবং লেফটেন্যান্ট আবদুর রউফ); ভোলাগঞ্জ (লেফটেন্যান্ট তাহের উদ্দিন আখঞ্জী; সহযোগী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এস.এম. খালেদ) বালাট (সুবেদার গনি এবং পরে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন ও এফ.এফ এনামুল হক চৌধুরী) এবং বড়ছড়া (ক্যাপ্টেন মুসলিম উদ্দিন)।
যোদ্ধা : ১৯৩৬ নিয়মিত সৈন্য এবং ৯০০০ গণবাহিনীর যোদ্ধাসহ মোট ১০৯৩৬ জন।

৬ নং সেক্টর

এলাকা : ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী অঞ্চল ব্যতীত সমগ্র রংপুর জেলা ও ঠাকুরগাঁও।
সেক্টর কমান্ডার : উইং কমান্ডার বাশার।
হেড কোয়ার্টার্স : বুড়ীমারী (পাটগ্রামের নিকট)।
সাব-সেক্টর : ৫টি। ভজনপুর, পাটগ্রাম, সাহেবগঞ্জ, মোগলহাট এবং চিলহাটি। রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত হয়।
সাব-সেক্টর কমান্ডার : ভজনপুর (ক্যাপ্টেন নজরুল এবং পরে স্কোয়াড্রন লীডার সদরউদ্দিন ও ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার); পাটগ্রাম (প্রথমে কয়েকজন ইপিআর জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারগণ কমান্ড করেন। পরে ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান এই সাব-সেক্টরের দায়িত্ব নেন, সাহেবগঞ্জ (ক্যাপ্টেন নওয়াজেশ উদ্দিন); মোগলহাট (ক্যাপ্টেন দেলওয়ার) এবং চিলহাটি (ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ইকবাল)।
যোদ্ধা : জুন মাসে সেক্টরের সৈন্যসংখ্যা ছিল ৭০০ এবং প্রায় সবই ছিল ই পি আর বাহিনীর সদস্য। ডিসেম্বর পর্যন্ত সেক্টরের সৈন্যসংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১১ হাজার।

৭ নং সেক্টর

এলাকা : সমগ্র রাজশাহী ঠাকুরগাঁও ছাড়া দিনাজপুরের অবশিষ্টাংশ এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকা ব্যতীত সমগ্র বগুড়া ও পাবনা জেলা।
সেক্টর কমান্ডার : মেজর নাজমুল হক এবং পরে সুবেদার মেজর এ রব ও মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
হেড কোয়ার্টার্স : তরঙ্গপুর।
সাব-সেক্টর : ৮টি। মালন, তপন, মেহেদীপুর, হামজাপুর, আঙ্গিনাবাদ, শেখপাড়া, ঠোকরবাড়ি এবং লাগগোলা। রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া এবং দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত হয়।
সাব-সেক্টর কমান্ডার : মালন (ইপি আর জেসিও-গণ এবং পরে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর); তপন (মেজর নজমুল হক এবং পরে কয়েকজন ইপিআর জেসিও); মেহেদীপুর (সুবেদার ইলিয়াস এবং পরে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর) হামজাপুর (ক্যাপ্টেন ইদ্রিস); আঙ্গিনাবাদ (একজন গণবাহিনীর সদস্য) ও শেখপাড়া (ক্যাপ্টেন রশীদ)।
যোদ্ধা : প্রায় ১৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এই সেক্টরে যুদ্ধ করেন। নিয়মিত বাহিনীর সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় ২,৫০০ এবং ১২,৫০০ ছিল গণবাহিনীর সদস্য।

৮ নং সেক্টর

এলাকা : সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা, ফরিদপুরের অংশ বিশেষ এবং দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলার এলাকা। এপ্রিল মাসে এই সেক্টরের অপারেশনাল এলাকা ছিল কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা। মে মাসের শেষে অপারেশন এলাকা সঙ্কুচিত করে কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা, খুলনা জেলাসদর, সাতক্ষীরা মহকুমা এবং ফরিদপুরের উত্তরাংশ নিয়ে এই সেক্টর পুনর্গঠিত হয়।
সেক্টর কমান্ডার : মেজর আবু ওসমান চৌধুরী (আগস্ট পর্যন্ত) ও মেজর এম. এ মঞ্জুর (আগস্ট-ডিসেম্বর)।
হেড কোয়ার্টার্স : বেনাপোল (হেড কোয়ার্টারের এটা বিরাট অংশ ছিল ভারতের কল্যাণী শহরে)।
সাব-সেক্টর : ৭টি। বয়রা, হাকিমপুর, ভোমরা, লালবাজার, বানপুর, বেনাপোল ও শিকারপুর।
সাব-সেক্টর কমান্ডার : বয়রা (ক্যাপ্টেন খোন্দকার নজমুল হুদা); হাকিমপুর (ক্যাপ্টেন শফিক উল্লাহ); ভোমরা (ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এবং পরে ক্যাপ্টেন শাহাবুদ্দীন); লালবাজার (ক্যাপ্টেন এ.আর আযম চৌধুরী); বানপুর (ক্যাপ্টেন মুস্তাফিজুর রহমান); বেনাপোল (ক্যাপ্টেন আবদুল হালিম এবং পরে ক্যাপ্টেন তৌফিক- ই-এলাহী চৌধুরী) ও শিকারপুর (ক্যাপ্টেন তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এবং পরে লেফটেন্যান্ট জাহাঙ্গীর)।
যোদ্ধা : সেক্টরের সৈন্যদের মধ্যে ২ হাজারের মতো ছিল নিয়মিত বাহিনী এবং ৮ হাজার ছিল গণবাহিনী।

৯ নং সেক্টর

এলাকা : সাতক্ষীরা-দৌলতপুর সড়কসহ খুলনা জেলার সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল এবং বৃহত্তর বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা।
সেক্টর কমান্ডার : মেজর এম এ জলিল (ডিসেম্বর পর্যন্ত) ও এম. এ. মঞ্জুর (অতিরিক্ত দায়িত্ব)।
হেড কোয়ার্টার্স : হাসনাবাদ।
সাব-সেক্টর :
সাব সেক্টর ৩টি। টাকি, হিঙ্গলগঞ্জ ও শমসের নগর।
সাব-সেক্টর কমান্ডার :ক্যাপ্টেন শফিকুল্লা, ক্যাপ্টেন মাহবুব আহমেদ, ক্যাপ্টেন শাহজাহান, ক্যাপ্টেন এম.এন হুদা, ক্যাপ্টেন জিয়াউদ্দিন, লে. মাহফুজ আলম বেগ ও লে. সামসুল আরেফিন।
যোদ্ধা : ৩৩১১ নিয়মিত সৈন্য এবং ৮০০০ গণবাহিনীর যোদ্ধাসহ মোট ১১৩১১ জন।

১০ নং সেক্টর

এলাকা : অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল-চট্টগ্রাম ও চালনা।
সেক্টর কমান্ডার : মুক্তি বাহিনীর ট্রেনিং প্রাপ্ত নৌ-কমান্ডারগণ। এ সেক্টরে নিয়মিত কোনো সেক্টর কমান্ডার ছিল না।
হেড কোয়ার্টার্স : কোনো হেড কোয়ার্টার এবং সাব সেক্টরও ছিল না।
এই বাহিনী গঠনের উদ্যোক্তা ছিলেন ফ্রান্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাকিস্তান নৌবাহিনীর আটজন বাঙালি নৌ-কর্মকর্তা। এঁরা ছিলেন চীফ পেটি অফিসার গাজী মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, পেটি অফিসার সৈয়দ মোশাররফ হোসেন, পেটি অফিসার আমিন উল্লাহ শেখ, এম.ই-১ আহসান উল্লাহ, আর. ও-১ এ.ডব্লিউ চৌধুরী, এম.ই-১ বদিউল আলম, ই.এন-১ এ.আর মিয়া এবং স্টুয়ার্ড-১ আবেদুর রহমান।

১১ নং সেক্টর

এলাকা : কিশোরগঞ্জ ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ অঞ্চল।
সেক্টর কমান্ডার : মেজর আবু তাহের (৩ নভেম্বর পর্যন্ত) ও ফ্লাইট লে. এম. হামিদুল্লাহ (৩ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত)।
হেড কোয়ার্টার্স : মহেন্দ্রগঞ্জ।
সাব-সেক্টর : ৮টি। মানকারচর, মহেন্দ্রগঞ্জ, পুরাখাসিয়া, ঢালু, রংরা, শিববাড়ি, বাগমারা এবং মহেশখালী। ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইল জেলা নিয়ে গঠিত।
সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম.আবু তাহের। মেজর তাহের যুদ্ধে গুরুতর আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহকে সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সাব-সেক্টর কমান্ডার : মানকারচর (স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ); মহেন্দ্রগঞ্জ (লেফটেন্যান্ট মান্নান); পুরাখাসিয়া (লেফটেন্যান্ট হাশেম); ঢালু (লেফটেন্যান্ট তাহের এবং পরে লেফটেন্যান্ট কামাল); রংরা (ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান); শিববাড়ি (কয়েকজন ই.পি.আর জে.সি.ও); বাগমারা (কয়েকজন ই.পি.আর জে.সি.ও) এবং মহেশখোলা (জনৈক ই.পি.আর সদস্য)।
যোদ্ধা : এই সেক্টরে প্রায় ২৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছে।

মুক্তিযুদ্ধে গঠিত তিন ফোর্স
১. ‘জেড’ ফোর্স : লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান (জুলাই-ডিসেম্বর)।
২. ‘এস’ ফোর্স : লে. কর্নেল কেএম শফিউল্লাহ (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)।
৩. ‘কে’ ফোর্স : লে. কর্নেল খালেদ মোশাররফ (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একই ধরনের আরও সংবাদ
© Current Memory 2022 - 2023
Designed by BLACK iz Limited