বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘নতুনের গান’ ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের তৎকালীন মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের রণসঙ্গীত হিসেবে নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশের যে কোনো সামরিক অনুষ্ঠানে এই গানটির ২১ লাইন যন্ত্রসংগীতে বাজানো হয়। এটি ২০০৬ সালে বিবিসি বাংলার করা জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের ১৮তম স্থান অধিকার করে।
আজ জানবো বাংলাদেশের রণসঙ্গীত সম্পর্কিত সকল তথ্য-
চল্ চল্ চল্
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্।
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা টুটাব তিমির রাত;
বাধার বিন্ধ্যাচল।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান,
আমরা দানিব নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল।
চল্ রে নৌ জোয়ান,
শোন রে পাতিয়া কান-
মৃত্যু-তোরণ দুয়ারে-দুয়ারে
জীবনের আহবান
ভাঙ্রে ভাঙ্ পাগল,
চল্ রে চল্ রে চল্।
চল্ চল্ চল্।
– কাজী নজরুল ইসলাম
এ সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর
◊ বাংলাদেশের রণসঙ্গীত কোনটি?
– চল চল চল চল কবিতার প্রথম দুই স্তবক
◊ রণসঙ্গীতের রচয়িতা কে?
– কাজী নজরুল ইসলাম।
◊ রণসঙ্গীতের সুরকার কে?
– কাজী নজরুল ইসলাম।
◊ ‘চল্ চল্ চল্’ কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
– ‘সন্ধ্যা’।
◊ বাংলাদেশের রণসঙ্গীত প্রথম কবে প্রকাশিত হয়?
– বাংলা ১৩৩৫ ইংরেজি ১৯২৫ সালে।
◊ বাংলাদেশের রণসঙ্গীত প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
– ‘শিখা’ পত্রিকায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত সম্পর্কিত সকল তথ্য
◊ রণসঙ্গীত প্রথম ‘শিখা’ পত্রিকায় কোন শিরোনামে প্রকাশিত হয়?
– নতুনের গান।
◊ শিখা পত্রিকার কোন সংখ্যায় রণসঙ্গীত ছাপানো হয়?
– দ্বিতীয় বার্ষিক সংখ্যায়।
◊ উৎসব অনুষ্ঠানে রণসঙ্গীতের কত চরণ বাজানো হয়?
– ২১ লাইন যন্ত্র সঙ্গীতের সুরে।
◊ রণসঙ্গীতের প্রথম দুই চরণ কী?
– চল্ চল্ চল্/ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল।
⇒ চাকরির প্রস্তুতির জন্য এ জাতীয় সকল তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন